শিক্ষা
দেশে এখন
0

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম!

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সক্রিয় হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে। এই আন্দোলনে এরইমধ্যে সহিংসতায় ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। বুধবার (১৭ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষা-কার্যক্রম কতটা ব্যাহত হচ্ছে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বজনীন পেনশনের 'প্রত্যয় স্কিম' প্রত্যাহারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৪০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচি। সরকার তাদের দাবি এখনও না মেনে নেয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য চলছে তাদের এই আন্দোলন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মাঠে আন্দোলনে সক্রিয় হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। চলে বাংলা ব্লকেডসহ নানান কর্মসূচি। পক্ষে বিপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। এতে পুরো দেশও হয়ে উঠেছে অস্থিতিশীল। এর মধ্যে সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয়েছে দেশের সব ধরনের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা। চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগেও বছরের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ এরপর তাপপ্রবাহ ও বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্ধ থেকেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বন্ধে শিক্ষার্থীদের কতটুকু ক্ষতি হচ্ছে। আর তা পুশিয়ে নেয়ারই বা উপায় কী?

বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকের সেমিস্টার ফাইনাল শেষ হলেও কোনো বর্ষের বা বিভাগের শুরুই হয়নি। এরমধ্যেই বন্ধ হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ অবস্থায় কি সেশনজট তৈরি হতে পারে? শিক্ষাবিদরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির পরে শিখন ঘাটতি পূরণে নতুন নতুন কৌশল শিখেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশেষ ক্লাসও নেবেন তারা। এতে সেশনজট তৈরির শঙ্কা দেখেন না তিনি। তবে স্কুল, কলেজের শিখন ঘাটতি নিয়ে শঙ্কা তারা।

শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, 'এখনকার দিনে অনেকভাবেই শিক্ষার্থীদের সাথে যুক্ত থাকা যায়। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে। সে দিকগুলো দিয়েও শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা যায়।'

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং আন্দোলন যেন আরও অগ্রসর না হয়, সে জন্য কোটা সংস্কারে 'সংস্কার কমিটি' করার পরামর্শ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিমের।

তিনি বলেন, 'ছাত্ররা কখনও কারও প্রতিপক্ষ হতে পারে না। তারা সোচ্চার হয়েছে সংস্কার আন্দোলনে। সংস্কারটা তারা চায়। সেটা যে ধরনেরই হোক তারা আগে প্রকাশ করাক যে আম,রা এ ধরনের সংস্কার নিয়ে এসেছি। এটা তো ছাত্ররা বাতিল বা অন্যকিছু করতে বলেনি। সুতরাং এটাকে বাড়িয়ে দেয়া আর যথাযথ হবে না। সহজ কথা যতদ্রুত সম্ভব এটাকে সমাধান করতে হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ের ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব দিতে বলছেন শিক্ষাবিদরা।

এসএস