দেশে এখন
0

নওগাঁয় হু হু করে বাড়ছে জমির দাম

এক দশকের ব্যবধানে নওগাঁয় শতাংশ প্রতি জমির দাম বেড়েছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। মানুষের মধ্যে বাড়ছে শহরে বসবাস করার আগ্রহ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় পছন্দের জায়গায় জমি কিনে বসতবাড়ি করছেন অনেকে। ক্রমবর্ধমান চাহিদায় হু হু করে বাড়ছে জমির দাম।

নওগাঁ শহরটি বলতে গেলে খুবই ছোট। তবে, শহরে বসবাসের প্রবণতা বাড়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে শহরের পরিধি। এক দশক আগেও নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের জমির দাম ছিল বিঘাপ্রতি ২০ লাখ টাকার মতো। বর্তমানে সেসব জমির দাম কোটি টাকা।

আগের তুলনায় বেশি মানুষ শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় বসবাসের জন্য প্রয়োজন পড়ছে জমির। মহাসড়কের পাশে ঝুলছে জমি বিক্রির সাইনবোর্ড। কোথাও আবার প্লট আকারে বিক্রি হচ্ছে। জমি কেনার আগে ভবিষ্যতে দাম বাড়বে এমন জায়গাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ক্রেতারা।

চাহিদা বাড়ায় বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আবাসন খাতে। এর সাথে বাড়ছে বিনিয়োগ।

স্থানীয় একজন বলেন, 'মানুষের মধ্যে বাসস্থান তৈরি করার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। এছাড়াও সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শহরের পশ্চিম দিকে হচ্ছে, যার কারণে আশপাশের জায়গার দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।'

নওগাঁ পিপলস সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মহিউদ্দিন আলমগীর বলেন, 'মানুষ এখন কোথাও ডিপোজিট করতে সাহস পাচ্ছে না। সেজন্য তারা মনে করছে, জমিতে বিনিয়োগ করা গেলে জমি নষ্ট হবে না। আর কোনো সমস্যা নেই।'

এক্ষেত্রে এড়ানো যায় না ভূমি অফিসের জটিলতা। ভূমি বিষয়ক সেবা পেতে লেগে যায় অনেকটা সময়। তবে, ডিজিটাল সেবা চালু হওয়ায় স্বল্প ও দ্রুত সময়ে সেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন অনেকে। অনলাইনের মাধ্যমে নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান চালু হওয়ায় কমেছে জটিলতা ও হয়রানি।

আরও পড়ুন সুইডেনে ৮ হাজার টাকায় জমি!

নওগাঁ পৌরসভার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মৌদুদুর রহমান বলেন, 'আমরা ডিজিটাল ভূমি সেবায় প্রবেশ করেছি। বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে জমা নেয়া হচ্ছে। আমরা অফলাইনে নিতে পারি না। আমরা নামজারিটাও অনলাইনের মাধ্যমে চাই।'

নওগাঁ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রবিন শীষ বলেন, 'নামজারিগুলো ২৮ দিনের মধ্যেই আমরা সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত মনিটরিং করছে। একসময় বলা হতো পেপার লেস অফিস, এখন বলা হয় ফেস লেস অফিস। অর্থাৎ অফিসে গিয়ে সেবা নিতে হবে না।'

নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত হলে কলকারখানা গড়ে উঠার পাশাপাশি জমির দাম আরো বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর