যানজটের নগরীতে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে অভিভাবকদের ঝক্কির শেষ নেই। সকাল হতে না হতেই নগরীর পথেঘাটে দেখা যায় কেউ স্কুলে যাচ্ছে বাবার পেছনে মোটরসাইকেলে বসে, কেউ রিকশায় কেউবা হেঁটে। বেশিরভাগ সময়ই সন্তানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অভিভাবকরা যান সঙ্গে।
আবার যাদের সামর্থ্য আছে তারা যান ব্যক্তিগত গাড়িতে। এ কারণে স্কুল শুরু আর শেষের সময় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টিও হয়। এসব থেকে মুক্তি পেতে নগর পরিকল্পনা বিদরা বারবারই বলে আসছেন স্কুল বাস সার্ভিস চালু করার কথা।
অবশেষে রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপদে যাতায়াতের জন্য চালু করা হলো স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস। স্কুলের সামনেই রাখা বিআরটিসি বাসগুলোকে তাই সাজানো হয়েছিল ফুল আর বেলুন দিয়ে।
এই বাস সার্ভিসে থাকবে জিপিএস ট্র্যাকার , জিআইএস প্রযুক্তি, ডিজিটাল হাজিরা এবং আইপি ক্যামেরা। এই সার্ভিসের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবরা সহজেই সন্তানদের অবস্থান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারবে। এমন ডিজিটাল বাস সার্ভিস পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরাও।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'স্কুল থেকে আমাদের যাদের বাসা অনেক দূরে, তাদের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়। এই বাসের জন্য আমরা ভালো সুবিধা পাবো। জ্যামের কারণে অনেকসময় আমাদের স্কুলে আসতে দেরি হয়ে যায়। সেটা থেকে আমরা বাঁচবো। আমরা সবাই এক সঙ্গে যাবো সেজন্য আমাদের বাসা থেকেও খুব একটা চিন্তা করবে না।'
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম রাজধানীর উত্তরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্কুলবাস সার্ভিসের আওতায় আনার আহ্বান জানান অন্যথায় স্কুল বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মেয়র বলেন, 'বাসগুলো কোন রাস্তা দিয়ে যাবে, অভিভাবকরা অ্যাপসের মাধ্যমে তা দেখতে পারবে। কোন জায়গায় নামবে, এ বিষয়গুলো নিয়েও আমরা অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, যারা বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় স্কুল করেছেন তারা আমাদের স্কুল বাসে আসুন। তা না হলে আমরা আপনাদের সে স্কুলগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য থাকবো। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আজ বলে গিয়েছে।'
এর আগে ডিএনসিসি স্মার্ট বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।