গোয়াইনঘাট উপজেলা ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ সাড়ে ৩ লাখের মধ্যে ১ লাখ মানুষই বন্যা কবলিত। ঘরের উঁচু জায়গায় ঠাঁই নিয়ে প্রাণ বাঁচালেও বন্যায় মাটি ধসে পানির সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে ভিটে। বেশিরভাগ মানুষই রয়েছেন অর্ধাহারে-অনাহারে। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকার সংকটের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রেও হচ্ছে না জায়গা সংকুলান।
দ্বিতীয় দফার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হওয়ার আগেই আবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট, গ্রামীণ সড়ক, কৃষিজমি, মাছের ঘেরসহ লক্ষাধিক বাড়িঘর। তৃতীয় দফার বন্যায় সাড়ে ৭ লাখ দুর্গতদের মধ্যে বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে আছে ৮ হাজার ৪০৮ জন যা আগের দিনের তুলনায় ১০০ জন বেশি।
সিলেট গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলছেন, বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে রয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে তৎপর আছেন তারা।
২০২২ এর ভয়াবহ বন্যার পর ২০২৪ সালের মে-জুলাই এর মধ্যে ৩য় দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ লাখেরও মানুষ বন্যা কবলিত। ত্রান বা সহযোগিতা নয়, সহায় সম্বলহীন নিঃস্ব মানুষেরা চাইছেন এই অকাল বন্যার স্থায়ী সমাধান।