ফুঁসে উঠছে প্রমত্তা যমুনা। এতে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। তাই কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারায় বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে অনেকে। কেউ কেউ রাস্তার ধারেই ঘর বাঁধছে।
গতবছরও একই স্থানে ভাঙনের কবলে দেড়শো'র মতো বাড়িঘর যমুনাতে বিলীন হয়েছিল।
এলাকাবাসীদের একজন বলেন, 'প্রতিবছরেই আমাদের ক্ষতি হয়। থাকার ঘর থাকে না। গরু-ছাগলও নদীতে ভেসে যায়। আমরা খুব কষ্টে থাকি। '
নদী ক্রমেই বাঁধের কাছে আসায় যেকোনো মুহূর্তে ভাঙনের কবলে পড়বে এলাকা। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা চান স্থানীয়রা।
নদী ভাঙনের কারণে রাস্তার ধারেই ঘর বাঁধছেন অনেকে। ছবি: এখন টিভি
তারা বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০-৬০টি ঘর নদীতে ভেসে গেছে। এখানে কোনো নিরাপত্তা পাচ্ছি না। নদী ভাঙন আরও বাড়তে পারে। নদীতে টেকসই বাঁধ দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলেই কেবল টেকসই কাজ হতে পারে।
ভাঙন সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বগুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, 'আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেছি। তারা জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ ব্যবস্থার কাজ করে যাচ্ছে। তবে নদীর ৪০০-৫০০ মিটার নিচে যদি বাঁধ দিতে পারি; তাহলে হয়তো আমরা গ্রামটিকে রক্ষা করতে পারবো।'
শুধু জিও ব্যাগ ফেলে এ বছরের পানি উন্নয়ন বোর্ড খরচ করেছে অন্তত ৫ কোটি টাকা। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ইছামারা গ্রামটিতে গতবছর মুহূর্তেই বিলীন হয়ে যায় ১২০টি বাড়িঘর। এবছরও ভাঙন শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি। নদীর ভাঙন বাড়লে প্লাবিত হতে পারে বেশ কয়েকটি উপজেলা।