আজ (মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটার দিকে অনেকটা জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। এটিই ছিল নাহিদ ইসলামের শেষ বৈঠক। বৈঠকে বিদায়ী কথা বলে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন নাহিদ ইসলাম।
বিকেল পৌনে তিনটার দিকে যমুনার সামনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এবং জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ সরকারি সব দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যাহতি নেয়ার কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের বাস্তবতায় তখন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়া যৌক্তিক মনে হয়েছিল।' আর এখন দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ছাত্রজনতার রাজনৈতিক শক্তির সাথে রাজপথে থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
আরো পড়ুন: ‘সরকার থেকে বিদায় নিচ্ছি নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে’
তিনি বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিই। তখন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করা আমাদের কাছে মনে হয়েছিল যৌক্তিক। গত সাড়ে ছয় মাসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কাজ করছে। হয়ত আমরা আশানুরূপ ফলাফল এখনো পাইনি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে সরকারে একটা স্ট্যাবিলিটি এসেছে।'
সংবাদ সম্মেলনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, পুলিশের মনোবলে ঘাটতিসহ দায়িত্বে থাকাকালীন নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানান তিনি। আশা প্রকাশ করেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে সরকার সফল হবে।
তিনি বলেন, 'আমরা যে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা করি, সে আকাঙ্ক্ষার জন্য এবং গণঅভ্যুত্থানে যেসব ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেছে সেই শক্তিকে সংহত করতে আমি মনে করি, সরকারের থেকে সরকারের বাইরে রাজপথে আমার ভূমিকা বেশি। বাইরে যে আমাদের সহযোদ্ধারা রয়েছে তারাও এটি চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে মূলত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।'
সম্মেলন শেষ করে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে পতাকাবিহীন গাড়িতে প্রটোকল ছাড়াই বের হয়ে যান নাহিদ ইসলাম।