দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন
পানি কমার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বাঁধ ভেঙে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে একরের পর একর ফসলি জমি। বসত ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা যথেষ্ট নয় বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই।
বগুড়া নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর-ফসলি জমি
বগুড়ার সারিয়াকান্দির ইছামারা গ্রামে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। এরই মধ্যে বাড়িঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছেন অনেকে। এ অবস্থায় স্থায়ী সমাধান চান নদীপারের মানুষ।
বর্ষার শুরুতেই আতঙ্কে পড়েন নদী তীরবর্তী মানুষ
বর্ষার শুরুতেই কুড়িগ্রামে আতঙ্কে পড়েন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। নানা অনিশ্চয়তায় কাঁপতে থাকে তাদের বুক। একদিকে চলে বন্যার হানা। অন্যদিকে পানি কমলে দেখায় ভাঙনের নির্মমতা। চোখের সামনে বিলীন হয় ভিটেমাটি, গাছপালা, জমি-জিরাত। বর্ষা আসে বর্ষা যায়- তবে বদলায় না নদী কপালিয়া মানুষের ভাগ্যের রেখা।
প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় যমুনার ভাঙনে নিঃস্ব অনেক পরিবার
টাঙ্গাইলের চরপৌলিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় ৩৫ বাড়ি যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। বন্যা শুরু হওয়ার আগেই তীব্র ভাঙনে শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। আকষ্মিক এমন ভাঙনে অন্তত ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য বলছেন, ভাঙন রোধে আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না বাঁধের মত করে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
ভোলায় রিমালের তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতবিক্ষত ভোলার বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জলোচ্ছ্বাসের চাইতে বাঁধের উচ্চতা কম হওয়ায় স্রোতের তোড়ে ভেঙেছে প্রায় ১৬৫ মিটার বেড়িবাঁধ। জোয়ারের জলে ভেসেছে ৫ ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম।