ঈদ ঘিরে খুশির আবহ ছড়িয়েছে সারাদেশের কোরবানির হাটে। হাটে হাটে পশু কিনতে নানা সমীকরণ মেলাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে এই কর্মযজ্ঞে ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় হাটে হাটে জমা আবর্জনার স্তূপ। এ ধরনের ময়লা হয়ে উঠতে পারে ক্ষতির কারণ।
পশু হাটের ময়লা-আবর্জনা ও কোরবানির রক্ত, টুকরা হাড়, উচ্ছিষ্ট দ্রুতসময়ে আপসারণ কাজ করবে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এই কার্যক্রমে ইতোমধ্যে তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।
ঢাকা মহানগরীর কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য নগর ভবনে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন মিলে বর্জ্য অপসারণের বিভিন্ন কাজে নিয়জিত থাকবে প্রায় ১৯ হাজার জনবল। মাঠ পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সচিত্র তদারকি এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সার্বিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবে আলাদা আলাদা কর্মকর্তারা।
এক ভোক্তভোগী বলেন, 'চলাফেরা করা যাচ্ছে না এই বর্জ্যের কারণে। অনেক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যদি ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা যায় তাহলে খুব ভালো হবে।'
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. নাছিম আহমেদ বলেন, 'আমাদের কাউন্সিলর এবং তাদের লোকবল আছে। বর্জ্যটি আমাদের অন্তঃবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে যাবে। তারপর ড্রামট্রাকে করে ল্যান্ড ফিল্ডে যাবে।'
শুধু সিটি কর্পোরেশন নয়, সকলের সদিচ্ছা ও সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিব আহমেদ।
তিনি বলেন, 'কোরবানির দিনে রাজধানীতে প্রায় ৪০ হাজার টনের মতো বর্জ্য তৈরি হয়। এই বিশাল বর্জ্য অপসারণ করাটা বড় চ্যালেঞ্জ। সমন্বিত উদ্যোগ নিলে এটা দ্রুত অপসারণ করা সম্ভব।'
এছাড়া মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।