দেশে এখন
0

মাগুরায় কোরবানির হাটে আলোচনায় মহারাজ ও ভাগ্যরাজ

মাগুরা

মাগুরায় কোরবানির বাজারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ৩০ ও ৪০ মণের ষাঁড় নাম মহারাজ ও ভাগ্যরাজ। ষাঁড় দুটি এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে। গরু দুটি কিনলে সাথে এসি ও মোটরসাইকেল পুরস্কার দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন মালিকরা। ক্রেতা আকর্ষণে ষাঁড় দুটিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে।

৬ ফিট উচু ও ১৪ ফিট লম্বা কালো রঙের মহারাজ। গোয়াল থেকে বের করতে রীতিমত ঝরে ঘাম। নাজেহাল করে ছাড়ে স্বভাবজাত শক্তি মত্তায়। খান্দানি নামের সঙ্গে দৈহিক আকৃতির মিল মানিয়েছেও বেশ। মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া গ্রামে পালিত মহরাজের ওজন ৩০ মণ। দাম হাঁকানো হচ্ছে ২০ লাখ। মহারাজের ক্রেতা আকর্ষণে সঙ্গে উপহার হিসেবে এসি দেয়ার ঘোষণা মালিকপক্ষের।

একই উপজেলার খালিয়া গ্রামে বেড়ে ওঠা ভাগ্যরাজের সঙ্গে ক্রেতাকে উপহার হিসেবে দেয়া হবে মোটরসাইকেল। দেশি পদ্ধতিতে লালন করা ভাগ্যরাজের ওজন ৪০ মণ। ছোট থেকেই তার বেড়ে ওঠা রাজ কপাল নিয়ে। নিজের মায়ের সঙ্গে আরও ৪ মা গাভীর দুধ খেয়েই বেড়ে ওঠা তার। ভাগ্যরাজের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা।

এদিকে বিশাল আকৃতির গরু মহারাজ ও ভাগ্যরাজকে দেখতে বাড়ে উৎসুক মানুষের ভিড়।

গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে দেশিয় পদ্ধতিতে পশু মোটাতাজা করতে বাড়ছে কৃষকের আগ্রহ। ছোটবড় খামারিদেরও নানা পরামর্শ দিচ্ছে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগ। ফলে গ্রামীণ পর্যায়ে বাড়ছে পশুপালন।

এ বছর জেলার চাহিদা হিসেবে ৬৯ হাজার ৬৭৮টি পশু বিক্রির পরও ২৩ হাজার ২২৩টি কোরবানিযোগ্য পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যা পাঠানো যাবে দেশের বিভিন্ন বাজারে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিহির কান্তি বিশ্বাস বলেন, 'ঘাস খাওয়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। খামারিরা সম্পূর্ণ দেশিও পদ্ধতিতে লালন পালন করছে। তাই তারা লাভবান হচ্ছে।'

এরই মধ্যে পয়সাওয়ালা ক্রেতা ধরতে ভাগ্যরাজকে চট্টগ্রাম এবং মহারাজকে ঢাকায় পাঠানোর সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন মহারাজ ও ভাগ্যরাজের ভাগ্য নির্ধারণের পালা।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর