দেশে এখন
0

নওগাঁয় পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ভাল দাম পাওয়ার আশায় গবাদিপশু লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন নওগাঁর খামারিরা। এসব খামারে দেশি ষাঁড়, শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান ও অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল ও ভেড়া লালন-পালন করা হচ্ছে। তবে এ বছর দানাদার খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গবাদিপশু পালনে তুলনামূলক খরচ পড়েছে বেশি।

খামারিদের একজন বলেন, 'প্রতি কেজি গোখাদ্যের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়ায় খামার করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।'

এসব খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত কয়েক হাজার যুবকের। তবে পশুখাদ্যের দাম কমানো হলে খামার সংখ্যা যেমন বাড়বে তেমনি বাড়বে উৎপাদন। পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থান বাড়বে।

ইতোমধ্যে কোরবানির পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। তবে হাটে পশুর সরবরাহ বেশি হলেও বেচাকেনা কম। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতিটি গরুতে গত বছরের তুলনায় এ বছর অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।

ক্রেতাদের এখজন বলেন, 'গত বছর যে গরুর দাম ছিল ৮০ হাজার টাকা এবছর সে গরুর দাম ৯০ থেকে ১ লাখ টাকা।'

প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, পশু পালনের মাধ্যমে খামারিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। খরচ কমাতে খামারিদের ঘাস চাষসহ নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তালেব বলেন, 'খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কোনো রোগ ব্যাধি হলে সরাসরি গিয়ে সেবা দেয়া হচ্ছে।'

নওগাঁ প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৪ হাজার ৫৩৪ খামার রয়েছে। এসব খামারে ৭ লাখ ২৮ হাজার ১১০টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। আর জেলার চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৯টি গবাদি পশু।

কোরবানি ঈদ ঘিরে নওগাঁয় গবাদি পশু পালন করা হয়েছে ৯১ হাজার ৪৭ টি ষাঁড়, ২৯ হাজার ১১১ টি বলদ, ৬৫ হাজার ৬৮টি গাভী, ২ হাজার ৪০৩টি মহিষ, ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৯টি ছাগল এবং ৭৫ হাজার ৫৫২টি ভেড়া।

ইএ