দেশে এখন
0

২৪ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি ট্রেনের দরজা থেকে ছিটকে পড়া তানভীর

৭ জুন মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল তার

ভৈরব উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম রেলওয়ে সেতু অতিক্রমের সময় ট্রেনের দরজা থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যান তানভীর মোল্লা (২০)। গতকাল (শুক্রবার, ৩১ মে) পানিতে পড়ার ২৪ ঘণ্টা পর হলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি তাকে।

তানভীর গতকাল মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটে ওঠার জন্য বাড়ি থেকে ঢাকা আসছিলেন বাবা মেরাজ মোল্লার সঙ্গে। কিন্তু ঢাকায় দালালের মাধ্যমে জানতে পারে তার ফ্লাইট পরের সপ্তাহে। তখন সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ তানভীর মোল্লা বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রাম এলাকায়। তার স্বজনরা জানায়, দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট তানভীর। দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাবার সঙ্গে ঢাকায় যান সে। শুক্রবার ভোর ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু ওইদিন বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই দালাল জানায়- তার ফ্লাইটটি বাতিল করে ৭ জনু নতুন তারিখ দেয়া হয়েছে। ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন হওয়ায় সেদিন বিকেলে ঢাকা থেকে নোয়াখালী অভিমুখী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা ও ছেলে। তারা দুইজনেই ট্রেনটির 'চ' বগিতে ছিলেন।

ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভৈরব নজরুল ইসলাম সেতু অতিক্রমের সময় ট্রেনের দরজা থেকে মেঘনা নদীতে ছিটকে পড়েন তানভীর। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। ঘটনার খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তানভীরের কোনো খোঁজ মিলেনি।

সন্তানকে জীবিত ফেরত পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে মেরাজ মোল্লার মনে। তিনি জানান, ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসার পর ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের ভিড় ও গরম এড়াতে তানভীর তার আসন ছেড়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপর ট্রেনটি সেতু অতিক্রম করার সময় দরজার সামনে থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায় সে।

ভৈরব নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. মনিরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে নদীতে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল যৌথ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। তবে আজ বিকেল পর্যন্ত তানভীরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। হয়তো পানির স্রোতের তোড়ে অন্যত্র ভেসে গেছে। যেহেতু ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, সেহেতু তাকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনাও কম। তবে আগামীকাল (রোববার, ২ জুন) আবারও নদীতে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।

এসএস