বাজার
দেশে এখন
0

সারাদেশে লাগামহীন ডিমের বাজার

গত কয়েকদিন ধরে অস্থিতিশীল ডিমের বাজার। উৎপাদন খরচ না বাড়লেও সমিতির সিদ্ধান্ত মেনে প্রতি পিস ডিমে অন্তত ৩ টাকা দাম বাড়িয়েছেন খামারিরা। এরপর কয়েকবার হাত বদল হয়ে প্রতি পিস ডিমে ভোক্তাদের বাড়তি দুই থেকে আড়াই টাকা গুণতে হচ্ছে।

গাজীপুরের প্রান্তিক খামারি হুমায়ূন কবির, ১৮ বছর ধরে মুরগির খামার করছেন তিনি। বর্তমানে খামারে মুরগির সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। খামারির দাবি- খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ ও শ্রমিকের মজুরিসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ মিলিয়ে একটি ডিম উৎপাদনে ১০ টাকা খরচ হয়। গত কয়েক মাস এই ডিম ৮ টাকা করে বিক্রি করলেও বর্তমানে তা বিক্রি করছেন ১১ টাকায়। আর এই ডিমের দর নির্ধারণ করে দিয়েছে সমিতি।

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বাচ্চা থেকে মুরগি হওয়া পর্যন্ত অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। সবমিলিয়ে খামারে ডিম উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেছে।’

খামারিরা বলছেন, গরমের কারণে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ডিমের উৎপাদন কমেছে। যার প্রভাব বাজারে পড়ছে। এছাড়া ডিমের দাম বাড়ার পেছনে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদেরও হাত রয়েছে বলে জানান তারা।

বিভিন্ন সময় খামারিরা খাবারের দাম বৃদ্ধির কথা জানালেও ফিড ব্যবসায়ীরা জানান, গত তিন মাসে দাম বাড়েনি।

বগুড়ায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী ডিমের দাম ওঠানামা করে। ডিম উৎপাদনকারী বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের। তাই ডিমের বাজারে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। কয়েক হাত বদল হয়ে পাইকারিতে ৪৬ ও খুচরায় দোকানে প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকাররা বলেন, ‘ডিমের দাম কয়েকদিনের ব্যবধানে বেড়েছে। আবার ডিমের সরবরাহও কম। আমরা কিনে এনে বিক্রি করি, বেশি লাভ করতে পারি না।’

যৌক্তিক কারণ ছাড়া হঠাৎ ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, ‘প্রতি মাসে আমাদের বাজেট থাকে। কিন্তু ডিমের দাম আমাদের বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে নজরদারি প্রয়োজন।