ঘন্টা খানেক ধরে মাছের বাজার ঘুরে তেমন কিছুই কিনতে পারেননি নিজাম উদ্দিন ও তার স্ত্রী। বাড়তি দাম যেন কমার নাম নেই৷ তাই খুঁজছেন সাধ্যের মধ্যে থাকা মাছ।
নিজাম উদ্দিন বলেন, 'মাছের দাম বেশি। কেনার মতো অবস্থা নেই। সব মাছই দেখলাম। বিশেষ করে আইর মাছ, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ। এর মধ্যে আবার চিংড়ির দাম অনেক বেশি।'
মাছের বাজার ভিড় থাকলেও দরদামে ব্যস্ত ক্রেতারা খুশি নন দাম শুনে। চাষের মাছ ও দেশিয় কিছু কিছু মাছে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
একজন ক্রেতা বলেন, 'দেশি মাছ তো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। অনেক মানুষ কিনতে পারবে না এটা।'
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ, রুপচাঁদা, চিংড়িসহ সামদ্রিক মাছ। ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা, রুপচাদা ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ এবং চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। দেশিয় মাছের মধ্যে টেংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। আর মলা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
একজন বিক্রেতা বলেন, 'রুই মাছ ৭০০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে এটা ছিল ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। রাঙামাটির মাছ ঢাকা শহরে আসলে মাছের দাম প্রায় অর্ধেক কমে যায়। এখন রাঙামাটির মাছ আসা বন্ধ থাকবে তিন মাস।'
ছুটির দিনে মাছের বাজারের সাথে দাম বেড়েছে সবজির। তবে মরিচ ও রসুনের দামে এসেছে বড় পরিবর্তন। ২০ টাকা দাম বেড়ে রসুনের দাম ২০০ টাকা। আদার দাম বেড়ে হয়েছে ২২০ টাকা। শসা ৫০ টাকা আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
বাড়তি দামে মধ্যবিত্তের বেড়েছে ভোগান্তি। বাজার তদারকি করলে কমবে দাম-- এমনটাই দাবি ক্রেতাদের।