স্বাস্থ্য
দেশে এখন

মশার লার্ভা নিয়ে জরিমানার কথা জানেন না অনেক ভবন মালিক

নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা এবং কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও রাজধানীর অনেক ভবন মালিক জানেনই না। উল্টো প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার উপদ্রব। অন্যদিকে মাঠে কার্যকর ভূমিকা না রেখে মশা মারতে নানা প্রযুক্তি আনছে সিটি করপোরেশন।

রাজধানীতে রাস্তার পাশে হোক বা অলিগলি, সব জায়গায় এখন নতুন ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা। বর্ষা মৌসুমের আগে এই কাজ যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

গবেষণায় উঠে এসেছে এডিসের লার্ভা জন্ম নেয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে নির্মাণাধীন ভবন। ভবনের রিজার্ভ ট্যাংক থেকে শুরু করে নানা স্থানে জমে থাকা পানিতেই দেখা মিলে লার্ভার উপস্থিতি।

ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হওয়ার পর নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ ব্যাপারে জানেন না অনেকেই। এমনকি শুরু হয়নি মশার ওষুধ ছিটানোর কাজ।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, 'এখনো আমাদের কাছে সিটি করপোরেশন আসেনি এবং জানিও না এ ব্যাপারে।'

এসব এলাকায় তাই একদিকে যেমন বেড়েছে মশা অন্যদিকে ভবনে কাজ করা শ্রমিকরা রয়েছে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে।

আরেকজন বাসিন্দা বলেন, 'খুব মশা এখানে। রাতে থাকা যায় না। মশার কারণে আমাদের অসুখও বেড়েছে।' 

এদিকে, সিটি করপোরেশনগুলো মাঠে কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে মশা মারতে আনছেন নতুন প্রযুক্তি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'মন্ত্রী পরিষদ সভায় পাস হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সরাসরি বিটিআই আমদানি করতে পারবে। ৭ টি বাফেলো টার্বাইন নিয়ে এসে এই মশা থেকে নগরবাসীকে সুফল দিতে চায়।'

তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন যে পদ্ধতিতে এগুচ্ছে সেই পদ্ধতিতে চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা কীটতত্ত্ববিদদের।

কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, '২০০০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যা ছিল তা ২০২৩ সালে তার থেকে বেশি হয়েছে এই একবছরে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে পদ্ধতিতে এগুচ্ছে সেই পদ্ধতিতে চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে।'

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের সম্পৃক্ততা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর