দেশে এখন
0

চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬শ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের একটি ফার্নিচার কারখানার গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৬শ'‌ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। যার বাজার মূল্য ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। চোরাইপথে ভারত থেকে আনা এসব চিনি দেশীয় কোম্পানির মোড়কে খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল।

চিনির কোনো সংকট না থাকলেও অবৈধপথে আসা ভারতীয় চিনিতে বাজার সয়লাব। যদিও চোরাই পথে আনা চিনি দেদারসে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে। ফলে ভালোভাবে যাচাই না করলে বোঝার উপায় নেই যে এগুলো ভারতীয় চিনি।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ (শনিবার, ২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে একটি ফার্নিচার কারখানার গোডাউনে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। এসময় সেখানে ৬শ' বস্তা ভারতীয় চিহাজেরা নি পায় আভিযানিক দলটি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতিটি বস্তার গায়ে ফ্রেশ চিনি লেখা থাকলেও নেই উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ ও ব্যাচ বা লট নম্বর।

দেশীয় চিনি সাধারণত সাদা ও আকারে সমান হয়। চিনির বৈশিষ্ট্য দেখে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিশ্চিত হয়েছে জব্দ করা চিনি ভারতীয় যা এসেছে চোরাই পথে।

গোডাউন মালিকের দাবি, গাছ রাখার কথা বলে গোডাউনটি ভাড়া নিয়েছিলেন কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি জাহেদ। দুদিন আগে সেখানে আনা হয় কয়েক বস্তা চিনি। তবে এসব চিনি যে অবৈধ তা তার জানা ছিল না।

গোডাউন মালিক আব্দুর রব্বানী বলেন, 'আমার গোডাউনে কিছু কাঠ রাখার কথা বলে তারা চিনি রাখে। যা আমার জানা ছিল না।'

অভিযানের সময় চিনির মালিককে পাওয়া যায়নি। তবে চোরাচালানের চিনি গোডাউনে রাখার দায়ে গোডাউন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা চিনির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে চিঠি লেখার কথাও জানায় জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা ফ্রেশ ব্রান্ডের অর্থাৎ মেঘনা গ্রুপের সেল ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলে কনফার্ম হয়েছি এই চিনি তাদের তৈরি না। এইটা কোনো অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছে।’

দেশে চিনির চাহিদা প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন দেশে উৎপাদন হয়। আর সুগার আমদানি করে পরিশোধন করে বাকি চিনি উৎপাদন করে ৫টি দেশি কোম্পানি।

ইএ