দেশে এখন
0

যুদ্ধকে ‘না’ বলতে বিশ্ববাসীকে শেখ হাসিনার আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কারণ টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সব ধরনের আগ্রাসন এবং নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘নিউ এজেন্ডা ফর পিস’ কে সমর্থন করে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন থাইল্যান্ডে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে (ইউএনসিসি) এসক্যাপ হলে এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি নৃশংসতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'গাজায় হামলা শুধুমাত্র হতাহত বিশেষ করে নারী ও শিশুদের হতাহতের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, কিন্তু আলোচনা শান্তি আনতে পারে। ফিলিস্তিনে যুদ্ধ এবং গণহত্যা চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধ কোনো সমাধান আনতে পারে না।'

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তার শাসনামলে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন, যা দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিল।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'রোহিঙ্গারা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে যেন স্থায়ীভাবে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। এটা অবশ্যই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সংকটের উৎস মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারেই রয়েছে।'

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু বাংলাদেশে পালিয়ে এলে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সফরে ২৪ এপ্রিল সেখানে গিয়েছেন। ২৯ এপ্রিল সকালে তার ব্যাংকক ত্যাগ করার কথা রয়েছে।