তীব্র গরমে অস্থির জনজীবন। যেখানে থেমে থাকে না দিনমজুর কিংবা রিক্সার প্যাডেলে আয়ের সন্ধান। তাই তৃষ্ণার্ত দেহ প্রশান্তি খুঁজে নেয় রাস্তার পাশের লেবুর শরবত অথবা পানিয় খাবারে। তবে অস্বাস্থ্যকর এসব খাবার যে পানিবাহিত রোগের অন্যতম মাধ্যম তা হয়তো ভাবনে না কেউই। যা ফুড পয়জনিং বা বমির কারণও বটে।
গরমে এসব রোগের পাশাপাশি জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হিট স্ট্রোকসহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গরমের ধকল থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। শিশু হাসপাতালে ফাঁকা নেই কোনো বেড। অন্যান্য হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর চাপ।
ভিড় বেড়েছে ওষুধের দোকানেও। এছাড়া অনেকে আগাম সতর্কতা হিসেবে কিনে নিচ্ছেন ওষুধ।
একজন রোগী বলেন, 'গরম থেকে ঠাণ্ডা লেগেছে। তাই ফার্মেসীতে ওষুধ নিতে এসেছি।’
দেশে ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৫টি নিবন্ধিত ফার্মেসি রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৫৭ হাজার ঢাকায়। এসব দোকানে যেসব ওষুধ বিক্রি বেড়েছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল ও ওরস্যালাইন। বিক্রেতারা বলছেন, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধ বিক্রি।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, 'বেশির ভাগ রোগী আসে প্রেসক্রিপশন ছাড়া। শুধু ঠাণ্ডা লাগার জন্য তারা আসছে।'
আরেকজন বলেন, 'বাচ্চাদের ওষুধ আগের তুলনায় দ্বিগুণ বিক্রি বেড়েছে।'
এসব ফার্মেসিতে যারা আসছেন তাদের প্রায় ৪০% মৌসুমি জ্বর কিংবা গরমজনিত রোগে আক্রান্ত। অন্য সময়ে এসব যত ওষুধ বিক্রি হতো এখন এগুলোর বিক্রি বেড়েছ প্রায় দ্বিগুণ। তাই তীব্র গরমে মানুষ যেমন নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনি ব্যস্ততা বেড়েছে ওষুধের দোকানে। তবে গরমে সুস্থ্য থাকতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ না খাওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ইশিতা বিশ্বাস বলেন, 'প্রেসক্রিপশন ছাড়া যেহেতু ঔষধ বিক্রি হয় রোগীর তা খাওয়ার পরে না কমলে তখন আমাদের কাছে আছে।'
গরম বাড়লে আরও রোগী বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। আর এ থেকে রেহাই পেতে সতর্কতা জরুরি।