সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত দিয়ে ভারত হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি পাচার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এমন গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির স্থানীয় ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক টহল দল নিয়ে গতকাল (বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কৌশলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনৈক প্রবীণ লোককে সাথে নিয়ে সেখানকার খায়রুল নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পরিত্যক্ত ঘর তল্লাশি করে।
এসময় ৫ হাজার ৮৯০ কেজি চিনি এবং ১৮ বস্তা শাড়ি এবং বাগানের মধ্য থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৮ বস্তাসহ মোট ৪৬ বস্তা শাড়ি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩৫হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া একইদিন ভোরে জেলার পরশুরাম উপজেলার সুবারবাজার বিওপির নিয়মিত টহল দল সীমান্ত পিলার থেকে আনুমানিক ৯০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে তুলাতুলী নামক স্থান হতে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ১ হাজার ৪২০ কৌটা হেলথ ফিট ওষুধ এবং ৫৩০ কৌটা গুড হেলথ আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ ৭ হাজার ৩০০ টাকা।
এবং তারাকুচা বিওপির নিয়মিত টহল দল সীমান্ত পিলার হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ফুলগাজী উপজেলার ফেনা পস্কুরুনী নামক স্থান থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় দুই বস্তা ভারতীয় শাড়ি আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
পাশাপাশি গত বুধবার সন্ধ্যায় মধুগ্রাম বিওপি চোরাচালান প্রতিরোধ টহল পরিচালনা করে সীমান্ত পিলার থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছাগলনাইয়া থানাধীন সেক্রেটারি বাগান নামক স্থান হতে চার বস্তা ভারতীয় শাড়ি আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ ২ হাজার টাকা।
ফেনী-৪ বিজিবির আর্টিলারি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, জি+ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে তাদের অভিযানিক কর্মকাণ্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আটককরা সবগুলো চোরাই পণ্য স্থানীয় শুল্ক অফিসে জমা করা হয়েছে।