দেশে এখন
0

বছরের শেষ দিন পালন করছেন কুড়িগ্রামের সনাতন ধর্মীরা

বাংলা বছরের শেষ মাস চৈত্রের শেষ দিন আজ। এ দিনকে বলা হয়ে থাকে চৈত্র সংক্রান্তি। সনাতন ধর্মের অনুসারীগণ পূজা-অর্চনা এবং নানান আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করে বিদায় জানিয়েছেন পুরাতন বছরকে। গ্রামীণ এবং নগর জীবনের মেলবন্ধনে একসাথে সবাই প্রস্তুতি নিয়েছেন নতুন বছর ১৪৩১ সালকে বরণ করতে।

আজ (শনিবার, ১৩ এপ্রিল) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের ফুলখাঁর চাকলা সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী ভক্তগণ সেখানে সমবেত হয়ে শিবের উপাসনা করছেন। চরণে ফুল পানি দিয়ে নৈবদ্য দিয়েছেন।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক রূপকুমার রায় জানান, আগে এখানে গাজন উৎসবের আয়োজন হতো। আয়োজন হতো চড়ক পূজার। এখন হয় না। শুধু মন্দিরে নৈবদ্য দেওয়ার মধ্য পুজা-অর্চনা সীমাবদ্ধ।

গৃহবধূ কণিকা রানী রায় জানান, তারা সকালে বাড়িঘর, আসবাবপত্র এবং তৈজসপত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্নান করে টক এবং তিতা খাবার রেঁধেছেন। বিশেষ করে শাক ও আম ডাল রয়েছে খাবারে। প্রচলিত প্রথা হিসেবে তারা এই পদগুলো রান্না করেছেন। কারণ তাদের বিশ্বাস এসব খাওয়ার মাধ্যমে সম্পর্কের সকল তিক্ততা ও অম্লতা দূর হবে।

সুবোধ ঠাকুর ও হরেয়া কান্ত রায় জানান, তারা সকালে বাড়ির ঘরের দরজার উপরে বেত গাছের আগা, রসুন, পিঁয়াজ, বটের পাতা মোতামোতির গাছ ও বিষ ঠেকিয়া বেঁধে দিয়েছেন। তাদের বিশ্বাস এসব বেঁধে দিলে ঘর আগুন লাগা থেকে রক্ষা পাবে। ঘরে কোনো বালা মুসিবৎ ঢুকবে না।

তারা আরও বিশ্বাস করেন, সূর্য আজ মীন রাশি ত্যাগ করে মেষ রাশিতে প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি নতুন বর্ষকে বরণ করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। বৈশাখের প্রথম দিনে বাড়িতে বাড়িতে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিষ্টান্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।এর মাধ্যমে মঙ্গলদাত্রী লক্ষ্মী এবং সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনা শুরু হবে।

এদিকে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ফুলখাঁর চাকলা বাজারে মেলা বসেছে। মেলায় মুড়ি মুড়কি, চিনি ও গুড়ের সাস, বাতাসা উঠেছে। পাওয়া যাচ্ছে হস্ত শিল্পের নানান খেলার সামগ্রী, ঘরের ব্যবহারের চাকু, বটি, কাঠারীসহ নানান পদের দ্রব্যাদি।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর