ঈদে পছন্দের পোশাক তৈরি আর কাপড়ে মনমতো ডিজাইনের জন্য রমজানের শুরু থেকেই দর্জির দোকানে ভিড় থাকে অনেকের। রেডিমেড পোশাকে বিভিন্ন সমস্যার কারণে দর্জির দোকানে তৈরি পোশাকে আস্থা রাখেন নারীরা।
এক নারী বলেন, ‘রেডিমেট কাপড়ে মনমতো ডিজাইন দিতে পারি না। এখানের সেলাইটাও ভালো হয়। তাই দর্জির কাছ থেকেই তৈরি করি।’
কেউ গজ-ফিতায় নিখুঁত মাপে কাটছেন কাপড়, কেউবা টুকরো কাপড় মেশিনে পোশাকে রূপ দেয়ায় ব্যস্ত। চাঁদপুরের দর্জিপাড়াগুলোয় এমন ব্যস্ততা কারিগরদের।
শ্রমিকরা বলেন, ‘এখন আমাদের কাজের চাপ অনেক বেশি। ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে হয়। রমজানের শুরু থেকেই আমাদের কাজের পরিমাণ বেড়েছে।’
কাজের চাপে অনেক দোকানেই বন্ধ হয়ে গেছে নতুন কাজের অর্ডার নেয়া। ঈদ ঘিরে আয় বাড়ায় খুশি দোকানি ও শ্রমিকরা।
জেলায় ছোটবড় মিলে প্রায় ৬ হাজার দর্জির দোকান রয়েছে। যেখানে ঈদে প্রায় ২০ কোটি টাকা দেনদেনের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা টেইলার্স মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, 'সারা জেলায় প্রায় ৬০০ দোকানের মতো আছে। এবার ২০-২৫ কোটি টাকার কাজ হতে পারে।'
বিভিন্ন ডিজাইনের সেলোয়ার-কামিজ তৈরিতে খরচ পড়ছে সাড়ে ৩০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। পুরুষের শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবী তৈরিতে খরচ গুণতে হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা।