ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দীপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নতুন ওয়ার্ডটির যত্রতত্র বর্জ্যের স্তুপ। খালগুলো আবর্জনার দখলে। স্থানীয় একজন বলেন, 'বর্তমানে কয়েল, স্প্রেতে মশা কমছে না। সন্ধ্যার পরে ঘরে তো বসাই যায় না।'
আরেকজন বলেন, 'নিজের বাসা পরিষ্কার রাখলেই এখানকার যে খাল আছে সেখানে মশার উপদ্রব অনেক বেশি।'
অধিক তাপমাত্রা এবং মৌসুমের আগে বৃষ্টিপাতকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন কীটতত্ত্ববিদরা। ফলে এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, 'মাঠ পর্যায়ে আমরা এডিস মশার যে ঘনত্ব পাচ্ছি যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা আশঙ্কা করছি ২০২৪ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হবে।'
কীটতত্ত্ববিদরা মৌসুমের আগেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সিটি কর্পোরেশনকে সচেতন করলেও সংস্থাটির দাবি, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো।
ডিএসসিসি'র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলনে, 'এখন পর্যন্ত আমরা ফলাফল ভালো পাচ্ছি। বিছিন্নভাবে দুই একটা জায়গায় মশার উপদ্রব একটু বাড়তে পারে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।'
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।