বাজার
দেশে এখন
রাজধানীতে বাড়তি মসলার দাম, স্বস্তি ফেরেনি মাংসে
রাজধানীর বাজারে কমেনি মাংসের দাম। নানা উদ্যোগের পরও যৌক্তিক দামে মিলছে না মাংস। এদিকে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মসলার দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে।

ঈদ ঘিরে জমে উঠেছে মসলার বাজার। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সব ধরনের মসলার দাম।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মার্কিন ছোট এলাচ ২৮শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লবঙ্গ প্রতি কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারিতে দাম বাড়ার পাশাপাশি চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় মসলার দাম বেড়েছে। সবচেয়ে ভালো জাতের এলাচ ও লবঙ্গ মূলত যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়। এক্ষেত্রে বিক্রেতাদের যুক্তি, মোকামেই দাম বেশি।

বিক্রেতারা বলেন, 'আমদানির কারণে দাম বেশি। মশলার ভিতরে জিরার দাম কমেছে কিন্তু এলাচের দাম বেড়েছে।'

মসলার মধ্যে জিরা, গোলমরিচ, চিনা বাদামের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে কেজি প্রতি শাহী জিরা ৭শ’ টাকা, জয়িত্রী ৩২শ’ টাকা, জয়ফল ৯শ’, আলু বোখরা ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনিয়া ২৮০, গোলমরিচ ৯শ’ ও কিসমিস ৫৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলেন, 'রমজান আসলে আমাদের দেশে এমনিতেই সিন্ডিকেট। সব দেশে দাম কমে আর আমাদের দেশে বাড়ে।'

এদিকে অনেকটাই স্থিতিশীল মাংসের দাম। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরু, খাসি ও মুরগির মাংস।

বিক্রেতারা বলেন, 'দাম আগে যা ছিল তাই বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ১১শ’ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।' তবে এখনও যৌক্তিক দামে মিলছে না গরুর মাংস। বিভিন্ন দামে মাংস বিক্রি নিয়ে অসন্তুষ্ট ক্রেতারা।

ইএ