পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন
বাংলাদেশে দূষণে বাড়ছে অকাল মৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
নানা ধরনের দূষণে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে বছরে প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, বায়ু দূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে বাড়ছে রোগবালাই ও অকাল মৃত্যু।

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ নতুন খবর নয়। তবে এ নিয়ে শঙ্কাজনক তথ্য দিলো বিশ্ব ব্যাংক। সংস্থাটির প্রতিবেদন বলছে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণও পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকি। ।

দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস নামের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালে পরিবেশগত কারণে দেশের জিডিপির ১৭.৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দেশে বায়ু দূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বছরের বড় একটা সময় অসুস্থতায় অতিবাহিত হয় দেশের মানুষের, পুরো জনসংখ্যার হিসেবে যা প্রায় ৫০০ কোটি দিনের বেশি।

এমন অবস্থায় দেশের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানালেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় সেগুলো নিয়ে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে ২০২৬ সালের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমাদের মন্ত্রণালয় এগুলো নিয়ে কাজ করছে।'

আর সমুদ্র ও বায়ু দূষণ রোধের পাশাপাশি সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো হবে বলছেন বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এডুকেশন স্পেশালিষ্ট ইউকো নাগাসিমা বলেন, 'আমরা পরিবেশ ইস্যুতে বেশ কিছু পরিকল্পনা এবং গবেষণা করেছি। এখনও বিশ্বব্যাংকের অধীনে কিছু প্রোগ্রাম চালু আছে। আমরা এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কাজ করছি।'

পরিবেশবিদরা মনে করছেন, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বাংলাদেশে পরিবেশগত সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার বলেও মত তাদের।

এমএসআরএস