বর্ষা এলেই একটু ভারী বর্ষণে তলিয়ে যায় বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। মন্ত্রী, এমপি ও স্বয়ং মেয়রের বাসভবনও বাদ যায় না। গত ছয় বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও দিনে দিনে পরিস্থিতি প্রকট হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে বছরে অন্তত ১০ বার ডুবে যায় এই নগরী। জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ ঘুচাতে তিনটি সেবা সংস্থার প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান থাকলেও গেলো বছরেও বর্ষায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
নিজ এলাকায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠে ক্ষোভ। শনিবার (২৩ মার্চ) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় চাক্তাই খাল পুনঃখনন কাজের অগ্রগতি নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকল্প শেষ হতে আরও আড়াই বছর বাকি, এই সময়ের মধ্যে জনগণের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সেটির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছি। আর প্রকল্প শেষে এর ব্যবস্থাপনা যেন নিয়মিত তদারকি করা হয় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘বর্ষার আগেই খাল খননের কাজ শেষ হবে। আর এবার জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।’
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের একটি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুটি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের আওতায় হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। অথচ এখনও কাজ শেষ হয়নি।
এদিকে জলাবদ্ধতা দূর করতে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সিডিএ। ২০১৮ সালে কাজ শুরু হয়, কিন্তু পুরো কাজ শেষ হয়নি। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নগরীর কর্ণফুলী ও হালদা নদীর সঙ্গে যুক্ত নগরের ২৩ খালের মুখে জলকপাটের কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি। অথচ এরই মধ্যে ৯৭ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়ে গেছে।