দেশে এখন
0

মাঠ পর্যায়ে কমেছে রসুনের দাম

দিনাজপুরের মাঠ পর্যায়ে কমেছে রসুনের দাম। বর্তমানে মাঠ থেকে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি করছেন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কেজিতে ২০ থেকে ২২ টাকা পর্যন্ত কমেছে রসুনের দর। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা কম ও সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে মশলা জাতীয় এই পণ্যের।

দেশের রসুনের চাহিদার সিংহভাগ জোগান দেয় উত্তরের শস্যভাণ্ডার দিনাজপুর। এবার জেলায় ২ হাজার ৯শ' হেক্টর জমিতে হয়েছে রসুনের আবাদ। কাগজে কলমে লাখের চেয়েও প্রায় ৩শ' হেক্টর জমিতে হয়েছে রসুনের চাষ।

শুধুমাত্র জেলার খানসামা উপজেলাতেই রসুন আবাদ হয়েছে দেড় হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। ৫০ শতক ধরে প্রতি বিঘায় চাষাবাদ খরচ ১ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় অন্তত ৫০ মণ রসুন উঠবে কৃষকের ঘরে। তবে চাষিরা বলছেন, ভরা মৌসুম হওয়ায় দর খানিকটা কম। বর্তমানে পাইকারদের কাছে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি করছেন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। তবে মাস তিনেক পর এই রসুন ২০০ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তারা। যদিও উৎপাদন খরচ বাড়ায় রসুন চাষ কৃষকদের লাভের আশা হচ্ছে গুড়ে বালি।

একজন কৃষক বলেন, 'গতবছরের তুলনায় এ বছর অনেক খরচ বেড়ে গেছে। ইউরিয়া, পটাস সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় রসুন চাষে খরচ বেড়ে গেছে।'

'ধান ফুরালো, পান ফুরালো, খাজনার উপায় কি! আর ক'টা দিন সবুর করো রসুন বুনেছি।'-এই কবিতা থেকে সহজেই অনুমেয় রসুনের বাজারদর কতটা আধিপত্য বিস্তার করে থাকে দেশের বাজারে। তবে দেশের উত্তরে উৎপাদিত এ রসুনের যে চাহিদা সে চাহিদার যোগানের যে সমীকরণ তার তারতম্য খুব বেশি না হলেও রসুনের বাজার দরে রয়েছে মারাত্মক রকমের হেরফের।

এই মাঠের রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় পাইকারের কাছে বিক্রি করা হলেও গ্রাহক পর্যায়ে সেটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এদিকে, রমজানের শুরুর দিকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অস্থির হয়ে উঠে রসুনের বাজার। কেজিপ্রতি দাম বাড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি রসুন কিনতে গুণতে হয় ১৯৫ টাকা পর্যন্ত। তবে বাড়তি দামের কারণে বাজারে কমেছে চাহিদা। একইসাথে বেড়েছে আমদানি। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে রসুনের পাইকারি বাজারে।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ২২ টাকা পর্যন্ত কমেছে মসলা জাতীয় এই পণ্যের দাম। বর্তমানে খাতুনগঞ্জের বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি দরে। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চায়না রসুনের বুকিং রেট কম ও বেচাকেনা কমায় দাম কমেছে রসুনের।

খাতুনগঞ্জে কমেছে আদার দামও। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি দরে।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর