পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন

খাল ভরাট করে এলজিইডি'র রাস্তা, জানে না পানি উন্নয়ন বোর্ড

সোহেল পারভেজ
কুষ্টিয়া

এলজিইডি'র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে খুশি করতে তার বাড়ির সামনে সরকারি খাল ভরাট করে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার এলজিইডির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ফলে শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ৭৫ বছর আগে খনন করা গড়াই খালটি পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে।

১৯৪৯ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভা ও মিরপুর উপজেলার পানি নিষ্কাশন ও কৃষি জমির জলাবদ্ধতা দূর করতে গড়াই খাল খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরে পানি প্রবাহ সচল রাখতে ২০১৮ সালে খালটি পুনরায় খননের কাজ করে কুষ্টিয়া পৌরসভা। তবে হঠাৎ নদী কমিশনের বিধিমালা তোয়াক্কা না করে উন্নয়নের নামে অবৈধভাবে মাটি দিয়ে খাল ভরাট করে রাস্তা বানানোর কাজ শুরু করেছে এলজিইডি'র কর্মকর্তারা।

নির্মাণ শ্রমিকরা বলেন, আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করতেছি, এখানে রাস্তা হইবো। এলজিইডি'র পক্ষ থেকে এ কাজ করছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলজিইডি'র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাড়ির সামনে রাস্তা তৈরির জন্য অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে খালটি। যার প্রভাব পড়বে কৃষি উৎপাদনে।

এলাকাবাসী বলেন, সরকারের এতো টাকা খরচ করে রাস্তা তৈরি করছে কিন্তু এটা টিকবে না। এলজিইডি'র কর্মকর্তা রেজাউল করিম সাহেবের কথাতেই রাস্তা হচ্ছে।

খাল ভরাট করে চলছে রাস্তা নির্মাণ। ছবি: এখন টিভি

খালটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা পৌরসভার কর্মকর্তারা দায় চাপাচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপর। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, খালটির দায়িত্বে রয়েছে পৌরসভা। তবে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে এলজিইডি'র সাথে আলাচনা হয়নি।

কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, 'খাল যে ভরাট করা হচ্ছে এটা আমার জানা নাই। নদী শাসন সবসময়ই পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। সুতরাং এটা উনারা দেখভাল করবে।'

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, 'নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা অযৌক্তিক। এটা আমরা সরেজমিনে দেখবো। এলজিইডির সঙ্গে এখনো এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি।'

তবে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করেন এলজিইডি'র কর্মকর্তারা। খাল সচল রেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক। বলেন, 'পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় রেখেই এ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।'

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর