১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের অন্যতম প্রাচীন ও প্রথম শ্রেণীর ঝালকাঠি পৌরসভা। এক সময় এই শহরে প্রবহমান ছিল অন্তত ২২টি খাল। কিন্তু গেল দুই যুগে একটু একটু করে দখল-দূষণে অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে বেশির ভাগ খালের।
বর্তমানে শহরের বুকে চার থেকে পাঁচটি খাল কোনোরকমে দৃশ্যমান। তবে খালের দুই পাশ দখল আর মাত্রাতিরিক্ত দূষণে পরিণত হয়েছে নালা-নর্দমায়। মশা-মাছির আবাসস্থল নালা-নর্দমাগুলো ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু। একই সাথে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও ঘর-বাড়িতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। সমস্যার সমাধানে কিছু সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও আবর্জনা অপসারণ না করায় পানি নিষ্কাশন হয়না বললেই চলে।
একজন এলাকাবাসী বলেন, ‘উভয় পাশ থেকে ধীরে ধীরে দখল করতে করতে, এখানে কোনো কাজ করা অনেক জটিল এখন। মুষলধারে বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই।’
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের স্কুলের পাশে ময়লা ফেলে রেখেছে, এজন্য আমাদের অনেক সমস্যা হয়, হাঁটতে পারি না।’
পৌর প্রশাসক বলছেন, খাল দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসরণ ও পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ঝালকাঠি পৌরসভা প্রশাসক মোহাম্মদ কাওছার হোসেন বলেন, ‘বেশকিছু খাল অবৈধ জবর দখল হয়ে আছে। এগুলোর পাড় ঘেঁষে অনেকেই স্থাপনা, দোকানপাট ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। এগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং আমি বিশ্বাস করি যে খালের নাব্যতা বৃদ্ধি পেলে, খাল খনন হলে মশা-মাছির সমস্যা, ময়লার স্তূপ এগুলো আর থাকবে না।’
এক সময়ের পরিচ্ছন্ন ঝালকাঠি শহর দখলদারদের কবলে জলাবদ্ধতা আর দূষণে পরিণত হয়েছে জনদুর্ভোগের শহরে যা থেকে পরিত্রাণে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ দাবি পৌরবাসীর।