আজ (শুক্রবার, ১৪ মার্চ) সন্ধ্যার আগে প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলামকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. একরামুল হক।
মো. একরামুল হক বলেন, 'নির্বাহী প্রকৌশলী টাকাগুলো তার নিজের বলে দাবি করেছেন। আমরা জিডি করে জব্দ তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশন ও আদালতে পাঠাবো। এটা যে তার টাকা, পরে সে দুদকে বা আদালতে প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যাবেন।'
তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা আদালত তলব করলে তাকে যথাসময়ে হাজির হতে হবে এমন মুচলেকা নিয়ে তাকে সন্ধ্যার আগে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।'
আরো পড়ুন:
উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ২টার দিকে নাটোরের সিংড়ায় নাটোর- বগুড়া মহাসড়কের বালুয়া-বাসুয়া চলনবিল গেট এলাকায় চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশির অংশ হিসেবে গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি করে পুলিশ।
এ সময় প্রাইভেটকারের ব্যাকডালার মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পায় পুলিশ। এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যক্তি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেন।
পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকাসহ প্রকৌশলীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী টাকাগুলো তার জমি বিক্রির টাকা বলে পুলিশকে জানায়।