দ্রুত ও নিরাপদ যাতায়াতের জন্য তৈরি হওয়া সেতু দিয়ে চলাচলের সময় পণ্য পরিবহন নাকি নিজের জীবন বাঁচাবেন- তা নিয়ে দুর্ভাবনা প্রতিদিন। শুধু কি পরিবহন, পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য সেতুটি, স্বস্তি নয় বরং কষ্ট বাড়ানোর একটি উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, 'ব্রিজ হয়েছে কিন্তু দুইপাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে।'
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল জোতবাজার এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ব্রিজটির মূল কাজ শেষ হলেও এখনো তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক।
স্থানীয় আরেকজন বলেন, 'সংযোগ সড়ক না হওয়ার কারণে বাঁশের চাটাই দিয়ে চলাচলে আমাদের জীবনের ঝুঁকি। সব ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে।'
একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, '১৫০ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত নদী পার হয়ে আসে। অনেক সময় নৌকা না পেয়ে সময়মত স্কুলে পৌঁছাতে পারছে না।'
যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণ করেছে, তারাই সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ। তবে সড়ক না বানিয়েই কাজ গুটিয়ে নেয় তারা। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার বিষয়টিকেই অজুহাত দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এরই মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগের চুক্তি বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
নওগাঁ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'ঠিকাদার আমাদের চিঠি দিয়েছে এই মর্মে যেহেতু সময় মতো সাইট আমাদেরকে বুঝিয়ে দিতে পারেননি এবং বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা কাজ করতে পারব না। আমরা এখন আগের চুক্তি বাতিল করে নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করবো।'
দ্রুত সমস্যা সমাধান করে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি এলাকাবাসীর।