২০১৯ সালে ২ একর জমি ইজারা নিয়ে সমবায় ভিত্তিক কৃষি চাষাবাদ শুরু করেন ১৫ তরুণ । নাম দেন 'সুফলা নওগাঁ অ্যাগ্রো প্রজেক্ট'। যেখানে চায়না-৩ লেবু, পেয়ারা, ড্রাগন ও মাল্টার বাগান করে লাভের মুখ দেখেন।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের শুরুতে প্রথম টিস্যু কালচারের জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলা ও উন্নত জাতের ফিলিপাইন কালো আখ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তারা। দেশীয় জাতের চেয়ে এ জাতের আখ ও কলার ফলন বেশি। আর দাম ভালো পেয়ে লাভবান তারা।
৮ কাঠা জমিতে ২ হাজার পিস আখ চাষে খরচ পড়েছে ২০ হাজার টাকা। যেখানে খরচ বাদে লাভ থাকবে অন্তত ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া ৩ বিঘা জমিতে জি-৯ জাতের ১ হাজার টি কলা গাছ আছে। গত এক বছরে ৪ লাখ টাকার কলা ও ৪০ হাজার টাকার চারা বিক্রি হয়েছে তাদের। এছাড়া আরো ২ লাখ টাকার কলা বিক্রির আশা। চারা, জমি ইজারা ও পরিচর্যায় খরচ পড়েছে অন্তত ২ লাখ টাকা। যেখানে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি লাভ থাকবে অন্তত ১ লাখ টাকা। প্রতিনিয়ত এ বাগানটি দেখতে ও পরামর্শ নিতে আসছেন তরুণ উদ্যোক্তা ও কৃষকরা।
এ বাগানে কাজ কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। সারা বছর এ বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহী করছেন ৩ জন শ্রমিক। কৃষকদের এগিয়ে নিতে আগামীতে উন্নত জাতের বীজ ও চারা বিতরণ করা সহ কারিগরি সব ধরণের সহযোগিতা কথা জানান কৃষিবিদরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা হক বলেন, ‘ এই দুইটা ফসলই করে কৃষকরা অনেক লাভবান হবে বলে আমরা আশা রাখছি। এতে রোগব্যাধি কম হয় তাই এটি কৃষকদের জন্য খুব উপযোগী একটি ফসলের জাত বলে আমরা মনে করছি। এজন্য রানীনগর উপজেলার সকল কৃষকের মাঝে এটি ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।’