বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের এম ভি আবদুল্লাহ দখল ও ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিককে বন্দি করার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'জলদস্যুদের সাথে কোনো 'ফরমাল' যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। অন্যপক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি নিয়ে তৎপর রয়েছে। ইতিপূর্বেও একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ এবং ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।'
এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এম ভি আব্দুল্লাহ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে কুয়ালালামপুরে পাইরেসি রিপোর্টিং সেন্টার, নয়াদিল্লীতে ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার, যুক্তরাজ্য মারিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) এবং এশিয়ায় দস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দপ্তরকে খবর দেয়া হয়েছে।'
এছাড়া ঐ অঞ্চলে চলাচলরত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের জাহাজগুলোকেও বাংলাদেশের জাহাজটির অবস্থা রিপোর্ট করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কনসার্ন আছেন এবং মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচিত হয়েছে।'
গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কোম্পানির মোজাম্বিক থেকে দুবাইগামী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ দখল করে। এ জাহাজে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক কর্মরত ছিল। জাহাজের সাথে তাদেরও বন্দি করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।