তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় তার লাইফ সাপোর্ট খুলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাপিয়া সারোয়ার গত তিন বছর যাবৎ ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত ৭২ বছর বয়সী এ শিল্পী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি 'লাইফ সাপোর্ট'-এ ছিলেন।
দর্শক-শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া 'নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন, নাইরে টেলিগ্রাম' গানের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের খ্যাতি ছিল রবীন্দ্র সংগীতে।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন তিনি। ২০২৪ সালে চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে রবীন্দ্র মেলায় পাপিয়া সারোয়ারকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়।
পাপিয়া সারোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৭৩ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র সংগীতে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা নেন।
তার দুই মেয়ের মধ্যে জারা সারোয়ার থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার থাকেন কানাডায়। পাপিয়া সারোয়ার ১৯৫২ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।