প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও দক্ষ কর্মকর্তাকে হারালো। দেশে সাংবাদিকতায় ইহসানুল করিমের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সোমবার বেলা ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি জানাজা এবং দুপুর ১টায় বনানী কবরস্থানে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছেন ইহসানুল করিম। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
১৯৫১ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম নেয়া ইহসানুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৭২ সালে বাসসের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। সংবাদ সংস্থাটির বিভিন্ন পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে সংস্থাটির ব্যুরোপ্রধানের দায়িত্বও পালন করেন।
এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি, ভারতের পিটিআই, দ্য স্টেটসম্যান ও ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশি প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন।
২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর অবসর নেন ইহসানুল। এরপর ওই বছরের ২০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২১ মে তিনি প্রেস সচিব হিসেবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে দায়িত্ব নেন। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৫ সালের ১৫ জুন ইহসানুলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর পর থেকে তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।