সিলেটের কুমারগাঁও থেকে বাদাঘাট হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফোরলেন সড়ক উন্নীতকরণের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। আর এতেই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছেন স্থানীয়রা।
দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট বাইপাস সড়কটির কাজ শুরু হয়। ৭শ' ২৭ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে আছে সাড়ে ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ, বাস বে, ২টি পিসি গার্ডার সেতু এবং ২৪টি আরসিসি বক্সকালভার্ট সেতু নির্মাণসহ ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ।
চলতি বছরের জুনের মধ্যে পুরো কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় পার হলেও সাড়ে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে শেষ হয়েছে মাত্র ৪ কিলোমিটারের কাজ। এছাড়া উল্লেখ করার মতো ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার ড্রেন, ২টি ব্রিজ আর ৫টি কালভার্টের কাজ হয়েছে।
সিলেট সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। আর যেহেতু অনেক জায়গায় জমি পাচ্ছি না, এজন্য সেখানে আমরা কাজ করতে পারছি না।’
তবে প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, যত দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ হবে ততই মানুষের ভোগান্তি কমবে। এছাড়া নানান সুযোগ-সুবিধাও বাড়বে।
এদিকে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, জমি অধিগ্রহণে জটিলতা রয়েছে। তবে জটিলতা কাটিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা জানান প্রকৌশলী আমির হোসেন।
কাজ শেষ হলে যানজট নিরসন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পর্যটনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ফোরলেনের সড়ক।