জিআই! বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই এই শব্দের সরব উপস্থিতি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চায়ের টং পর্যন্ত। আসলে এই জিআই'টা কি?
জিআই'য়ের পূর্ণরূপ হচ্ছে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটর বা ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য। কোন একটি নির্দিষ্ট দেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত পণ্যকে এই তালিকার আওতাভুক্ত করা হয়। আর সেই পণ্য সেই দেশের তরফ থেকে আবেদন করার পর ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পণ্যের সনদ দিয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টে টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য উল্লেখ করা হয়। বলা হয় এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের বহিঃপ্রকাশ। আর তাতেই হৈচৈ পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে পণ্য নিয়ে প্রস্তাব দেয়া মানেই সেটার স্বত্ত্ব প্রাপ্তি নয়।
কেবল টাঙ্গাইল শাড়ি নয় ভারত রসগোল্লা, নকশিকাঁথা, ফজলি আম, নারেকেলের মোয়া ও সুন্দরবনের মধুর স্বত্ব নিবন্ধন করেছে তারা। আর এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তড়িঘড়ি করে টাংগাইলের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।
সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে টাংগাইলের তাঁতের শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার সনদ তুলে দেন। এসময় মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর হাতে টাংগাইলের তাঁতের শাড়িও উপহার হিসেবে তুলে দেন।
বিকেলে সচিবালয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এসময় তিনি বলেন, দেশের আর কি কি পণ্য জিআই সনদ পেতে পারে এই ব্যাপারে মন্ত্রীদের আরও উদ্যোগী হবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, 'আজকে ৩টি পণ্যের জিআই সনদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়েছে। উনি বলেছেন আমাদের যেসব পণ্য নেয়ার মতো আছে এসব নিয়ে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেই।'
জিআই পণ্য নিয়ে যদি কোন দেশের সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় তবে তা আন্তজার্তিক আইনেই সমাধান করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।