মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলার মুখে দফায় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে দেশটির সীমান্তরক্ষীরা। এবার কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে ১১১ জন মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য। এ নিয়ে আড়াইশ' জনের বেশি সদস্যের বাংলাদেশে ঠাঁই নিয়েছে।
আরও পড়ুন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব
এরমধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির মধ্যমপাড়ায় ফের একটি মর্টারশেল এসে পড়েছে। এর স্প্লিন্টার ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে। সীমানা পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা ওই মর্টারশেলের আকস্মিক বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়।
এদিকে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি চলছেই। ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, কোনারপাড়াসহ দেশটির সীমান্তবর্তী বান্দরবানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বসতভিটা ছাড়ছেন অনেকেই। আবার অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে আছেন নিজ বাড়িতেই।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপির সদস্যদের মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আর কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।
সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও স্থানীয়দের নিরাপত্তায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন।
গত ২২ জানুয়ারি থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয়। তারপরই পুরো সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে।