দেশে এখন
0

তিস্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের সম্মতির অপেক্ষায় চীন

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সম্মতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

এছাড়া বাংলাদেশ বড় ধরনের রিজার্ভ সংকটে পড়লে তার সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দেন চীনা রাষ্ট্রদূত। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক ব্রিফিংয়ে বলেন, মিয়ানমারে বিরূপ পরিস্থিতি বিরাজ করলেও প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে চীন আমাদের পাশে আছে।

মিয়ানমারে সামারিক নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেন রোহিঙ্গারা। তখন তাদের সংখ্যা সাত লাখের মতো হলেও এখন সেই সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ। এরপর ছয় বছর পার হলেও একজন রোহিঙ্গাও ফেরেনি মিয়ানমারে। উল্টো কমেছে আন্তর্জাতিক সহায়তা, ভাটা পড়েছে প্রত্যাবাসন চেষ্টাতেও।

নতুন করে তৈরি হওয়া রাখাইন অস্থিরতা আরও শঙ্কা তৈরি করেছে। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানালেন, রাখাইনে অস্ত্রবিরতি হলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় চীন। এই মুহূর্তে সংকট থাকলেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতায় এগোতে চায় তার দেশ।

চীনের রাষ্ট্রদূতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানেও কথা হয় চলমান রাখাইন সংকট নিয়ে। বৈঠক শেষে গোয়েন লুইস জানান, রাখাইনে সমস্যার কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেনি। তাই জাতিসংঘের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য অনুরোধের কিছুই নেই।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বিরূপ পরিস্থিতি থাকলেও এটি যেন আন্তর্জাতিক আলোচনা থেকে হারিয়ে না যায় সেই বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দিনের তৃতীয় বৈঠকটি করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি। সেখানে নেপালের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উঠে আসে।