দেশে এখন
0

মজুতদার ধরা হবে, প্রয়োজনে জেল: প্রধানমন্ত্রী

শাহনুর শাকিব

মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে তাদের জেলে পাঠানো হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের প্রথম সভা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলের কর্মপরিকল্পনা আলোচনার পাশাপাশি সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন, একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনসহ উপজেলা নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই এই সভা।

এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই। কারণ আমাদের শক্তি জনগণ। এবার নির্বাচন হবে কি হবে না। নানা ধরনের অপপ্রচার করার পরও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।'

সরকার প্রধান বলেন, নির্বাচনের পরই হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক। জানান মজুতদারদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে জেলে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে অন্যভাবে দেশে একটি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। সরকার তা করতে দেবে না বলেও জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি।

তিনি বলেন, 'আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর আরও কিছু চেষ্টা চালাচ্ছে। হঠাৎ দাম বাড়িয়ে কিছু জায়গায় আন্দোলনের চেষ্টা। নির্বাচন বানচাল করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা অন্যভাবে নামতে চাচ্ছে।'

মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্যই স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন। তাই নির্বাচনের পর উন্নয়ন টেকসই করাই এখন প্রধান কাজ বলেও জানান সরকার প্রধান।

এসএস