বিদেশে এখন
0

পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। রোববার (৫ জানুয়ারি) কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বলা হচ্ছে, কানাডার ক্ষমতায় থাকা লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকেও সরে দাঁড়াবেন তিনি। আসছে নির্বাচনে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির কাছে হেরে যাওয়ার প্রবল শঙ্কার মধ্যে ট্রুডোর পদত্যাগে লেবার পার্টির নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে কানাডার সাধারণ নির্বাচন। এর আগেই লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব আর দেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে কানাডাভিত্তিক গণমাধ্যম দ্যা গ্লোব এন্ড মেইল জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অংশ নেবেন না তিনি।

বিভিন্ন জরিপ বলছে, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নিজ দলের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবি উঠেছে। ৫৩ বছর বয়সী ট্রুডো পদত্যাগ করলে নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে লিবারেল পার্টি। যেখানে দ্রুত নির্বাচনের ডাক দিলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয় হতে পারে কনজারভেটিভ পার্টির।

দ্যা গ্লোব এন্ড মেইল বলছে, জাস্টিন ট্রুডো নিজেকে অযোগ্য ভেবে পদত্যাগ করবেন বিষয়টি তেমন নয়, তিনি পদত্যাগ করবেন, কারণ লিবারেল পার্টির সদস্যরাই তার পেছনে নেই। এই মুহূর্তে ট্রুডোর পদত্যাগ মানে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সরকার গঠন করা, যেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চার বছর মেয়াদে সব ধরনের চুক্তি হতে পারে।

গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রুডো এখনই তার পদ ছেড়ে চলে যাবেন, নাকি নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবশ্য এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

লিবারেল পার্টি অব কানাডার প্রধান হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রুডো। এরপর ২০১৫ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। টানা ৯ বছর ধরে এ পদে আছেন ট্রুডো। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতিসহ নানা কারণে চাপে পড়ে গেছেন তিনি।

গেল বছরের ডিসেম্বরে কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেন। ট্রুডোর সঙ্গে বিরোধের জেরেই তিনি পদত্যাগ করেন। একসময় ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন ফ্রিল্যান্ড। তার পদত্যাগের পর ট্রুডোর সংকট আরও বেড়ে যায়। শেষমেশ দলের প্রধান হিসেবে ট্রুডো পদত্যাগ করছেন বলে আভাস পাওয়া গেল।

কি হতে পারে যদি ট্রুডো পদত্যাগ করেন, রয়েছে সেই শঙ্কাও। লিবারেল পার্টির কাছে দুটি উপায় থাকবে, জাতীয় ককাসের নির্দেশনায় অন্তর্বর্তীকালীন নেতা নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কনজারভেটিভ পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কাউকে তৈরি করা। এই দৌড়ে এগিয়ে আছেন অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লিব্ল্যাঙ্ক।

গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বরে ন্যানো রিসার্চের সার্ভে বলছে, বর্তমানে কানাডিয়ানদের মধ্যে লিবারেল পার্টির সমর্থন ২৬ শতাংশ যেখানে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন ৪৬ শতাংশের বেশি। তবে সাবেক উপ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড দায়িত্ব পেলে কনজারভেটিভদের জন্য তা হবে চ্যালেঞ্জ। এদিকে, হাউজ অব কমনসে লিবারেল পার্টিতে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি করা এমপিদের সংখ্যা ১০০ ছুঁইছুঁই।

ইএ