কনকনে শীত উপেক্ষা করে কর্মস্থলে যাওয়া আসা করতে প্রচণ্ড ঠান্ডা-কুয়াশায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে গ্যাস সংকটের কারণে রান্না করতে পারছেন না অনেকেই। তাই না খেয়েই অফিসে আসতে হচ্ছে অনেকের।
পোশাক শ্রমিকরা বলেন, 'সকালে ঠান্ডার মধ্যে অফিসে আসতে হয়। রাত ১১ টার সময় গ্যাস আসে তাই সকালে আর দুপুরে রান্না করা যায় না। অনেক সময় না খেয়েই আসতে হয়।'
গাজীপুরের পোশাক কারখানার সুইং সেকশনে কাজ করেন ১২শ' শ্রমিক। তবে মঙ্গলবারের হাজিরা খাতায় নাম উঠেছে ১১৯০ জনের। ১০ জন শ্রমিক অসুস্থতাজনিত কারণে কাজে যোগ দিতে পারেননি। এমন চিত্র অন্যান্য কারখানাগুলোতেও। যার প্রভাব পড়ছে উৎপাদনে।
গার্মেন্টস শ্রমিকরা বলেন, 'সর্দি-কাশি, হালকা জ্বর এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়। এটার কারণে আমাদের স্বাভাবিক কাজটা করা হয় না। তাই প্রডাকশন একটু কম হয়।'
এদিকে শীতের প্রভাবে শ্রমিকদের মধ্যে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগ বেড়েছে। এমন অবস্থায় কারখানাগুলোতে দেয়া হচ্ছে বিশেষ চিকিৎসা সেবা।
সিনিয়র নার্স সৈয়দা রেশমা আক্তার বলেন, অনেকের কাশির কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। এজন্য আমাদের মোটামুটি সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে।
শীত মৌসুমে কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাড়তি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ। একসঙ্গে অধিক শ্রমিকের অসুস্থতার ঝুঁকি সামাল দিতে শীত মৌসুমে বাড়তি শ্রমিক দিয়ে কারখানা চালাতে হয় বলে জানান কারখানার পরিচালক।
শিশির নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদরুল হাসান তসলিম বলেন, 'কোন শ্রমিক অসুস্থ হলে মেশিন গ্যাপ হয়। আর এতে আমাদের প্রডাকশন ব্যাহত হয়। এই চিন্তা থেকেই আমরা ব্যাকআপ রাখি।'
গাজীপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় চার হাজারের অধিক শিল্প কলকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লক্ষাধিক শ্রমিক।