এখন ভোট
দেশে এখন
0

অর্থনীতির সব সূচকে অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের: শেখ হাসিনা

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্যেশ্যে বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির উদেশ্যে ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন,'মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন বঙ্গবন্ধু সরকার পরিচালনা করে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে তা বাড়িয়ে ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবৈধ সরকারগুলো দীর্ঘ ১৬ বছরে মাথাপিছু আয় মাত্র ৫ ডলার বাড়ায়। কিন্তু শেখ মুজিবের আমলে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ অতিক্রম করে।'

জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে গিয়ে তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি বলেন, 'আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি দমে যাইনি। অবশেষে মানুষের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি।'

আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর দেশের উন্নতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পার্বত্য শান্তি চুক্তি করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু, তাঁদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি আশ্রয়ণ প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মত কর্মসূচি দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।'

দেশের অর্থনীতিতে বর্তমান সরকারের অবদানও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, '২০০৯ সাল ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাথাপিছু আয় ৫ গুণ, বাজেটের আকার ১২ গুণ,জিডিপির আকার ১২ গুণ, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩৬ গুণ ও রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।'

১৫ বছর আগে জিডিপির পরিমাণ ছিল ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে এসে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আসন্ন ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে সে সম্পর্কে প্রধানমন্তী শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোন উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন যোগাবেন না। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। এই প্রথম বাংলাদেশে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করছে।'

এসএস