খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে এখন ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে দেশি পেঁয়াজ। যার বেশিরভাগই এসেছে ফরিদপুর, রাজবাড়ি, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে।
ভরা মৌসুম তাই জমজমাট পেঁয়াজের আড়তগুলো। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ৬০-৭৫ টাকায়। গেল বছর এ সময় খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ৩৫ টাকা কেজিতে। দ্বিগুণ দাম পেয়ে এবার বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
পেঁয়াজ চাষে প্রতি বিঘায় কৃষকের খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড়ে ৫০ মণ পেঁয়াজ হয়। যার বর্তমান মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারত বন্ধ করে দেয়ার পরে দেশি পেঁয়াজ এখন প্রতি মার্কেটে যাচ্ছে। কয়েকমাস আমাদের নিজে থেকেই বন্ধ রাখতে হবে। এতে কৃষকরা লাভবান হবে।
বিক্রেতারা বলেন, 'দেশি পেঁয়াজ যেভাবে বাজারে আসতেছে এতে অন্যান্য পেঁয়াজের চাহিদা এবং দাম দুইটাই কমে গেছে। দেশিটাই সবাই এখন নিচ্ছে।'
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী তিন থেকে চার মাস ভরা মৌসুম। তাই এই সময় ভারতীয় বা চায়না পেঁয়াজ আমদানি না হলে উপকৃত হবেন চাষিরা। এতে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।