দেশে এখন
0

নতুন বছরে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা

নগরীতে রাতভর আতশবাজি, আতঙ্কিত পশুপাখি

আকাশজুড়ে আলোর ঝলকানিতে পুরাতনের বিদায় আর নতুনের আগমন হয়েছে। খ্রিস্টীয় নববর্ষ ২০২৪ কে স্বাগত জানাতে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় নানা আয়োজন। বাড়ির ছাদ কিংবা উঠান, বন্ধুদের কিংবা পরিবারকে নিয়ে নববর্ষের উৎসবে মাতেন নগরবাসী। নতুন বছরে কারো চাওয়া ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন। আবার কারো চাওয়া দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি।

নগরবাসী বলেন, নতুন বছরে আমরা পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ভালো থাকতে চাই। একইসঙ্গে সারাবিশ্বে মানুষ শান্তিতে থাকবে এটিই প্রত্যাশা করি।

তবে এই উৎসব আয়োজন থেকে যেন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি না হয় তার জন্য আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়। উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। আর হোটেল, রেঁস্তোরায় জনসমাগমের সুযোগ দেয়া হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ছিল কড়াকড়ি।

সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: এখন টিভি

তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আতশবাজি, পটকা ফুটানো ও ফানুস উড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নগরীর অনেকেই তা মানেননি। রাত ১২টা বাজার আগেই মুহুর্মুহু আতশবাজিতে কেঁপে ওঠে রাজধানী। টানা এক ঘণ্টার বেশি বিকট শব্দে দিগবিদিক ছুটকে থাকে পশুপাখি। উচ্চশব্দে মানুষের পাশাপাশি শব্দদূষণের শিকার হয়েছে পশুপাখিরা।

পুরান ঢাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আনন্দ করবো, কিন্তু কারোর যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।’

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যেন কোন ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। আসলে সবাই সতর্ক হলেই আমাদের দায়িত্ব পালন আরও সহজ হয়।’