যেখানে প্রতিদিন রোগীর ভিড় থাকতো, সেখানে শুনশান নীরবতা। শনিবার বিকেল থেকে হবিগঞ্জের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চিত্র একই। ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক চিকিৎসককে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
এর প্রতিবাদে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। জেলা শহর ও দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসক না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। সীমাহীন দুর্ভোগে রোগীর স্বজনরা।
কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজন বলেন, '৫ থেকে ৬ বার এসেছি কিন্তু ডাক্তারের দেখা পাইনি। ধর্মঘট হচ্ছে, সেজন্য তারা আসছে না। আমার শরীরের অবস্থা ভালো না, কিন্তু তারা বলছে দেখবে না।'
চাঁদের হাসি হাসপাতাল এর পাবলিক রিলেশন অফিসার একেএম মোর্শেদ আলী জানান, 'ডাক্তারদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে আমরা আজকের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।'
অন্যদিকে, রোগীর বাড়তি চাপ পড়েছে সরকারি হাসপাতালে। জেলা সদর হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ও বহিঃর্বিভাগে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর ভিড়। এতে বাড়ছে দুর্ভোগের চিত্র। তবে, প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন নার্স ও চিকিৎসকরা।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল এর কনসালটেন্ট আবু নাইম মাহমুদ হাসান বলেন, 'রোগীর চাপ বেশি থাকায় আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অপারেশন হচ্ছে।'
হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থিত 'দি জাপান বাংলাদেশ' হাসপাতালে এক নারীর জরায়ু টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে কিডনি কেটে ফেলার অভিযোগে মামলা হয় ডা. এসকে ঘোষ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে। সে মামলায় গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।