দেশে এখন
0

দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলছে মঙ্গলবার

চট্টগ্রামে ১৬ কি.মি. দ্রুতগতির বাধাহীন পথ। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বার খুলছে কাল। বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামে ১৬ কিলোমিটার দ্রুতগতির বাধাহীন পথসহ মোট ৩টি সড়কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে যান চলাচল কয়েক মাস পর শুরু হবে।

ঢাকার পর চট্টগ্রামে উদ্বোধন হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। যা নগরীর লালখান বাজার থেকে শুরু হয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা প্রান্তে শেষ হয়েছে। এই সড়ক ধরে মাত্র ২০ মিনিটে শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে বিমানবন্দর যাওয়া যাবে, যেখানে এখন ১ থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে।

৫৪ ফুট প্রশস্ত চার লেনের এ উড়ালসড়ক নির্মাণে খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। যেখানে থাকবে ১৪টি র‌্যাম্প। তবে র‌্যাম্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি।

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে র‌্যাম্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু মূল ফ্লাইওভারের সুবিধা ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে পাওয়া যাবে।

সড়কটি এখন উদ্বোধন হলেও ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত কাজ চলবে। শুরুতে টোল না লাগলেও পরবর্তীতে পুরোদমে চালু হলে টোল দিতে হবে।

১৮টি পাহাড় কেটে করা নগরীর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক সড়কে আগে থেকেই যান চলাচল করছে। যদিও এ সড়কটির সব কাজ ১০ বছরেও শেষ করতে পারেনি বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ। তবে সুফল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

এই সড়ক ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন মানুষ। ছবি: এখন টিভি

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এখন তো খুব সহজে যাতায়াত করতে পারছি। আগে তো মেডিকেলে যেতে আমাদের খুব কষ্ট হতো। আর ব্যবসায়ীরাও সুবিধা পাচ্ছেন।

৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের এই সড়কটির ফৌজদারহাট অংশে ওভারব্রিজ ও ইউলুপ নির্মাণের কাজ বাকি আছে। চলছে সড়কবাতি স্থাপনের কাজ। এই সড়কটিও উদ্বোধন হবে বলে জানান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।

একসময় নগরীর চকবাজার আসতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও বাকলিয়ার বাসিন্দাদের দীর্ঘপথ ঘুরে আসতে হতো। এতে চকবাজারে অবস্থিত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো।

তবে নবনির্মিত ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটারের সড়কটি সেই চিত্র পাল্টে দিয়েছে। এখন খুব সহজেই ওই সব অঞ্চলের বাসিন্দারা চকবাজার আসতে পারছেন। নতুন এই সড়কটি নির্মাণে ২২০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে।

প্রতিবেদক: শোয়েব রহমান