ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়পত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে ২২ জানুয়ারি, প্রচার শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি। প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারেরাও পোস্টাল ব্যলটে ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ১৬ মাসের মাথায় জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি।এর একদিন আগে, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসির চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ। তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব পোস্টার–ব্যানারসহ নির্বাচনি সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন:
গতকাল (বুধবার) নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে সিইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি উপস্থাপন করে তফসিল ঘোষণার অনুমতি চান। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, বৈঠকে আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং ও ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রপতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় পরিচালিত প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘একটি ভালো, সুস্থ ও অর্থবহ নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতি যতটা সহানুভূতি ও সহযোগিতা দিতে পারেন, তার চেয়েও বেশি দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন:





