টানা সাড়ে বারো মাসের প্রস্তুতি শেষে নির্বাচন কমিশন। অপেক্ষা তফসিল ঘোষণার। তাইতো বুধবার সকাল থেকেই ইসিতে ছিল অন্য রকম আবহ. রেওয়াজ অনুযায়ী, বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সিইসির নেতৃত্বে বের হয় নির্বাচন কমিশনারদের গাড়িবহর। আশপাশে ছিল বাড়তি সতর্কতা। গন্তব্য বঙ্গভবন।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনাররা। রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে অবগত করেন সিইসি। অনুমতি চান তফসিল ঘোষণার।
আরও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ইসিকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সন্তোষ জানান ইসির সার্বিক কার্যক্রম নিয়েও.
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং আর ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট এটার সম্পর্কে উনার কৌতূহল এবং পদ্ধতিগত বিন্যাস এবং প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো যে আমাদের স্থানীয় এক্সপার্ট দিয়ে করা হচ্ছে শুনে উনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। একটা ভালো সুস্থ এবং অর্থবহ নির্বাচনের জন্য উনার তরফ থেকে যতটা সহযোগিতা সহানুভূতি দেয়ার সুযোগ আছে উনি তার থেকে বেশি ছাড়া কম দিবেন না।’
এদিকে, বিকেলে সিইসির কক্ষে তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে। এরপর কমিশন সচিব জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণে ঘোষণা হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সময়সূচী।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা করা হবে। মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অন এয়ারে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবেন। উনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ওখানে তফসিল ঘোষণা করে দেবেন।’
জানা গেছে, আগামী ৮ কিংবা ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করে তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি।





