এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও বাংলাদেশে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির অধীনে আর্থ অবজারভেশন প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের দক্ষতা গড়ে তুলতে রিসার্চ, এডুকেশন ও ট্রেনিং সহায়তা দেবে থ্যালেস আলেনিয়া। পাশাপাশি চুক্তিবলে দুই প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে লোকাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট, নলেজ শেয়ারিং ও টেকনোলজি নিয়ে বিভিন্ন ট্রেনিং আয়োজন করবে।
আর্থ অবজারভেশন প্রযুক্তি মূলত পৃথিবী পৃষ্ঠ, জল এবং বায়ুমণ্ডল থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের একটি প্রক্রিয়া, যা মূলত স্যাটেলাইট, বিমান বা ভূমি-ভিত্তিক সেন্সর ব্যবহার করে জলবায়ু, আবহাওয়া, পরিবেশ, ভূমি ব্যবহার, প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যবেক্ষণ ও মানচিত্রাঙ্কনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা, কৃষি, দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ, জলবায়ু সহনশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ উন্নত প্রযুক্তি, বিশেষত স্যাটেলাইট ও স্পেস-ভিত্তিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
পাশাপাশি থ্যালেস আলেনিয়ার সঙ্গে সক্ষমতা উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয় পার্টনারশিপ ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে জাতীয় স্যাটেলাইট ইমেজ রিপোজিটরি ও সব মন্ত্রণালয়ের জন্য ডেটা অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তর অর্জন করতে পারবে।’
ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, ‘আর্থ অবজারভেশন ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপটিক্যাল ও রাডার-দুই ধরনের পর্যবেক্ষণ সুবিধা নিয়ে এই কর্মসূচি বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি ও আবহাওয়ার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।’
পাশাপাশি বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন, আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতিশ্রুতিকে গভীরভাবে গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আশাবাদও জানান রাষ্ট্রদূত।





