জানা গেছে, সন্ধ্যায় ৭টা ৭মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রবেশ করে। হাসপাতালে পৌঁছালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ. জে. এম. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এসকান্দার প্রধান উপদেষ্টাকে রিসিভ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রায় আধা ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি বেগম জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্যধারণের আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার চিকিৎসক দল প্রধান উপদেষ্টাকে ব্রিফ করেন। তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জনস হপকিন্স এবং যুক্তরাজ্যে ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ও সহায়তায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানান।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে সাড়ে ৭টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন:
গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এর চার দিন পর ২৭ নভেম্বর থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। গত কয়েকদিন থেকেই এ অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি।
শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা যোগাযোগ রাখছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ এভারকেয়ারে আসেন যুক্তরাজ্যের ইন্টেন্সিভ কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রিচার্ড বিয়েল।
জানা গেছে, নিয়মিত ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি সব ধরনের উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দেশের চিকিৎসক দলের সঙ্গে চীনের একটি বিশেষজ্ঞ দলও সহায়তা করে যাচ্ছে।
পাশাপাশি আমেরিকা, চীন,কাতার, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান, ইন্ডিয়াসহ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহায়তা করছে বলেও জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
গত সোমবার খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেদিন সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হলে এসএসএফ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে।





