প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাই প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে এগিয়ে আসেন এবং দীর্ঘ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা ২১ নভেম্বর সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে অংশ নেন। হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।’
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সকল কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের জন্য আমি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, গত ১৫ মাসে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।





